data-site-width="1200px" data-content-width="1200" data-font="Gordita Helvetica, Arial, sans-serif" data-header-sticky-height="80">

Blog

ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত

utsman-media-gp_veO5Otm0-unsplash
ইসলামী জীবন

ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত

অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়ে রোজা করে হজ করে যাকাত দেয় কিন্তু তারা জানে যে তাদের এগুলো কবুল হচ্ছে না, কেন কবুল হচ্ছে না এটাও তারা ভালোই বোঝে, তারপরেও প্রতিনিয়ত মানুষ এভাবেই নিজের খেয়াল খুশি মতো, নিজের ইচ্ছা মত প্রতিনিয়ত নামাজ রোজা ইবাদত বন্দেগী করেই যাচ্ছে।

সবাই বোঝে মন থেকে না করলে কিছুই আল্লাহর কাছে কিছুই কবুল হবে না।

তবুও অধিকাংশ মানুষ এসব আমল করে থাকে গতানুগতিকভাবে, সামাজিক প্রচলন হিসেবে, মুসলিমের কৃষ্টি কালচার হিসেবে,কিন্তু অন্তর থেকে করা হয় না, ভালোবাসার সাথে করা হয় না, ভয় ভীতির সাথে করা হয় না, সঠিক জ্ঞানের ভিত্তিতে করা হয় না, সঠিকটা শোনার পরেও তা মেনে নিতে পারে না। অধিকাংশই ইবাদত করার পরে মনে করে মহান আল্লাহ কবুল করতে বাধ্য যেটুকু করে দিচ্ছি মহান রবকে তাতে আল্লাহর সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। অথচ চিরজীবন নামাজ পড়লো কিন্তু সূরা ফাতিহা না ঠিকমতো পড়তে শিখল না তার অর্থ শিখল? সঠিকভাবে কিছুই শিখলো না। এভাবেই নির্ভয়ে ইবাদত করেই যাচ্ছে।

কিন্তু বেচারা জানে না; মহান আল্লাহকে কেউ বাধ্য করতে পারে না, বরং তার কাছে যেতে হয় বিনয়ী হয়ে, নত হয়ে, ছোট হয়ে,মাটি হয়ে, তুচ্ছ হয়ে। তাও আবার সঠিক শিক্ষার ভিত্তিতে এবং নবীর আদর্শের উপর।

এবার বলুন তো অধিকাংশ মানুষ নামাজ রোজা হজ কালিমা কতটুকু বিনয়ের সাথে করে থাকে? কতটুকু মাটির সাথে মিশে যায়! নিজেকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে! কতজন মানুষ আল্লাহর এবাদত করে বিনয় হয়ে? ক্রন্দনরত অবস্থায়? জাহান্নামের ভয়ে? অধিকাংশ মানুষ খেয়াল খুশি মতো এদিক ওদিক থেকে ধার কর্জা করা জ্ঞান দিয়ে এবাদত বন্দেগি করে থাকে, শিক্ষা করে কতজন মানুষ? জেনে বুঝে শিখে যে ইবাদত করতে হবে এরকম মানুষের সংখ্যা কয়জন?

এজন্য যেকোনো ইবাদত কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে একনিষ্ঠ ভাবে, আল্লাহকে খুশি করার জন্য , অত্যন্ত বিনয়ের সাথে, অহংকার মুক্ত, অন্তর থেকে, শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং নবীর আনুগত্য ও নির্দেশনার ওপর অটল থেকে এবং নিয়মিত ভাবে। কারো চাপেও নয় এমনকি নিজের খেয়াল খুশি মতো‌ও নয়।

আল্লাহর আনুগত্য করতে হয় আল্লাহর বিধানের কাছে বাধ্য হয়ে অথবা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে।

এ কথাটি আল্লাহ তায়ালা আসমান এবং জমিনকে বলেছিলেন: তারপর তিনি আসমানের প্রতি ইচ্ছে করলেন, যা (পূর্বে) ছিল ধোঁয়া। অতঃপর তিনি ওটাকে (আসমান) ও যমীনকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।’ তারা বলল, ‘আমরা আসলাম অনুগত হয়ে।’ সূরা নং ৪১, আয়াত:১১।

এই বিষয়টিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের উপর দাজ্জালের চাইতেও বেশি ভয় করতেন।

সেটা হলো: মানুষ ইসলামের সব আমলই করবে কিন্তু অন্তর থেকে করবে না। এটাকেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিরক বলেছেন। তাই প্রত্যেকেই নিজের আমলের হিসাব করুন!

আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে ছোট বড় শিরক থেকে বাঁচাও!

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Select the fields to be shown. Others will be hidden. Drag and drop to rearrange the order.
  • Image
  • SKU
  • Rating
  • Price
  • Stock
  • Availability
  • Add to cart
  • Description
  • Content
  • Weight
  • Dimensions
  • Additional information
Click outside to hide the comparison bar
Compare