মোট ১৩ বছরে সম্পূর্ণ আল কুরআনুল কারীম অর্থ সহ মুখস্ত করানো হবে এবং প্রায় পাঁচ হাজার (৫,০০০) সহীহ হাদীস আরবী ও বাংলায় পড়ানো হবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সর্বমোট দুইশত (২০০+) প্লাস ইসলামী সাবজেক্ট আমাদের সিলেবাস বা পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্ত।
কোর্সের প্রথম বছর বা প্রথম গ্রুপ প্লে বা নার্সারি পর্যায়ের। যেখানে শিশুদের মাত্র একটি বছর প্রশিক্ষণের পর দ্বিতীয় গ্রুপের জন্য নির্বাচন করা হবে।
দ্বিতীয় গ্ৰুপে মোট চার (৪) বছরে আরবী ভাষায় পরিপূর্ণ দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক যাবতীয় বিষয়ে প্রায় ৫০% জ্ঞান অর্জন করে পরবর্তী কোর্সে বড় স্কলার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।
তৃতীয় গ্ৰুপটি মোট আট (৮) বছর মেয়াদি কোর্স: এখানে ইসলামের বড় স্কলার হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ আরবি মাধ্যমে এরাবিয়ান শিক্ষকদের অধীনে পড়াশোনা করানো হবে ইনশাআল্লাহ।
আট বছর (৮) মেয়াদী কোর্সের সকল শিক্ষকমন্ডলী সম্পূর্ণ আরবি ভাষায় পাঠদান করাবেন, আমাদের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষক মহোদয় মদীনা ইউনিভার্সিটি-জামিয়া ইসলামিয়া- ও মসজিদে নববীর শিক্ষক মন্ডলী থেকে নির্বাচিত।
আমাদের কোর্সের মাধ্যমে মসজিদে নববী থেকে হেফজুল কোরআন এবং হিফজুল মুতুন এর সার্টিফিকেট অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
আমাদের কোর্স সমাপ্তকারী শিক্ষার্থীদের অর্জিত অত্র সার্টিফিকেটটি মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালে স্কলার্শিপে পড়ালেখার সুযোগ পেতে ৯৫% অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের কোর্সের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে : শিক্ষার্থীদের নির্ভরযোগ্য হাফেজে কোরআন এবং বড় আলেম বানানো, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের। তারা যেন দুনিয়াবী শিক্ষা বা জেনারেল স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে ইসলামের প্রকৃত ও বড় দাঈ ইলাল্লাহ হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের বয়স: মূলত (২-৪) বছরের কমলমতি প্রিয় শিশুরাই আমাদের প্রধান টার্গেট। কারণ একদম প্রথম থেকেই প্রিয় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য, তাই কোর্সের মাঝখানে নতুন কাউকে ভর্তি নেওয়া কষ্টকর। তবে আপাতত সর্বোচ্চ ১০-১২ বছরের হলেও বিবেচনা করা হবে। এই সুযোগ শুধু ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য।
কোর্স শেষে একাধিক মুল্যবান সার্টিফিকেট অর্জন সহ বিভিন্ন ওস্তাদের প্রশংসা পত্র বা তাজকিয়া প্রদান করা হবে, যেগুলো সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রধান পর্যায়ের শর্তভুক্ত বিষয়।
বাংলা ভাষাভাষী শিশুদেরকে মানসম্মত পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান যা সরাসরি মদিনা থেকে অনলাইন ভিত্তিক পরিচালিত আলহামদুলিল্লাহ। তাই দেখেশুনে, পর্যবেক্ষণ করে আপনার সন্তানকে আজই ভর্তি করুন ! আল্লাহ তাওফিক দিন!
ইসলামিক স্টাডিজ এডুকেশনের জন্য সাপ্তাহিক চার দিন ক্লাস। আর কুরআন মেমোরাইজ এর জন্য ৫ দিন ক্লাস।
🤲আল্লাহ সকল মুসলিম ভাই ও বোনকে সঠিক টা বুঝার তৌফিক দান করুন!
কোর্স সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সকল তথ্যাবলী বিস্তারিত জানতে নিম্নের পিডিএফ বইটি ডাউনলোড করে পড়ুন বা বিশেষ প্রয়োজনে কল করুন এই নাম্বারে:
❖00966-531134272(whatsapp & telegram)
❖00966-554335263 (whatsapp & telegram)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই কোর্সটি শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা নিজেদের সন্তানদেরকে সিরিয়াসলি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসলামের বড় স্কলার বানাতে চান। এখানে যেনতেন বা মোটামুটি পড়া লেখার সুযোগ নেই। কারণ মোটামুটি ইসলাম শিক্ষা করে জান্নাতের আশা করা নিতান্তই বোকামি! তাই ইসলামের জন্য সিরিয়াস হোন, ইনশাআল্লাহ বিজয় নিশ্চিত।
কেমন প্রতিষ্ঠানে আপনার সন্তানকে ভর্তি করাবেন:
এ কথা আপনারা সকলেই জানেন যে শিক্ষা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শিক্ষা যদি সুন্দর হয় শিক্ষার্থীর শিক্ষকমন্ডলী যদি ভালো হয় আন্তরিক হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দায়িত্ববান হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এ কথা বলাই যায় যে সেই ছাত্রের ভবিষ্যৎ জীবন অতি উজ্জ্বল হবে এটাই স্বাভাবিক । পক্ষান্তরে আমরা এ কোথাও জানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি নড়বড়ে ও অগছালো হয়, যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলা করা হয়, শিক্ষা সিলেবাস বা পাঠক্রম যদি দুর্বল হয়, কিংবা কোর্স প্ল্যান খুব স্বল্প সময়ের জন্য হয়, তাহলে বোঝাই যায় যে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালিখা করে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কারণ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের দায়িত্ব নেওয়া অত্যন্ত জরুরী , এমন সব সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি করার কোন প্রয়োজন নেই, কারণ এতে সময় নষ্ট হয়, আর শিশু সন্তানদের একবার মন ভেঙ্গে গেলে পড়ালেখায় মন বসানো কঠিন, শিক্ষা ও শিক্ষকের উপর থেকে মন একবার নষ্ট হয়ে গেলে কখনো তাদেরকে আর সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায় না, হলেও সেটা আল্লাহর দয়া, তাই ভেবে চিন্তে শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবেন! অন্যথায় আপনার মেধাবী ও কোমলমতি শিশু সন্তানের উন্নতির পরিবর্তে তার জীবনে নেমে আসতে পারে চরম ভয়াবহতা।
এজন্য আমি মনে করি উক্ত সকল বিষয়ে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনার সন্তানের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে ইনশাল্লাহ। ।
আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা, চারিত্র, ঈমান-আমল সহ ক্লাস ও পাঠ্যক্রমের পড়ালেখা সংশ্লিষ্ট সকল কিছুই আমরা পর্যবেক্ষণ করে থাকি আলহামদুলিল্লাহ।
কারণ শিক্ষার্থীদের শুধু ক্লাস উপহার দেওয়ায় আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে কোরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা তাদের হৃদয়ে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা, এর ফলে তারা যেন সৎ নাগরিক ও ইসলামের বড় স্কলার হতে পারে, তাদের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে যেন ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং আপনার সন্তান যেন মুসলিম উম্মাহর একজন আদর্শ সন্তান।
তাই সন্তান প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়ার মাধ্যমে অভিভাবকদের মুখে হাসি ও হৃদয়ে প্রশান্তি দেখতে চায়! যেন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দ্বীন প্রচারের একটি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি!
এবং মহান আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে যেন উত্তম বিনিময় পাই! এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের মৌলিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য। আল্লাহ কবুল করুন!
Select the fields to be shown. Others will be hidden. Drag and drop to rearrange the order.