data-site-width="1200px" data-content-width="1200" data-font="Gordita Helvetica, Arial, sans-serif" data-header-sticky-height="80">

Parent portal

  • শিশুর উন্নতির জন্য অভিভাবকের ভূমিকা
শিশুর উন্নতির জন্য অভিভাবকের ভূমিকা
শিশুর উন্নতির জন্য অভিভাবকের ভূমিকা

প্রত্যেক পিতামাতাকে নিচের এই উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়া আবশ্যক

অনেক পিতামাতা তাদের সন্তানদেরকে সমান্য কিছু কোরআন শিখাতে চান। ইসলামের সামান্য কিছু মাসলা মাসায়েল,নামায,রোযা টুকটাক এগুলো শেখাতে চান। এটা কি ঠিক হবে?

উত্তর: মুসলিমের জন্য এরকম চিন্তা করা বৈধ নয়। বরং প্রত্যেকটা মুসলিমকে এরকম আশা রাখতে হবে যে কোরআন ও হাদিস আমি সম্পূর্ণভাবে সঠিকটা  বুঝবো, আল্লাহ আমার প্রতি যা ফরয করেছেন তা জানবো এবং ওয়াজিব মুস্তাহাব গুলো শিখবো। প্রথমত নিয়ত ঠিক থাকতে হবে। আল্লাহ যাকে যতোটুকু তাওফিক দান করেন সে ততোটুকুই পারবে। কিন্তু কোনো মুসলিম যদি প্রথম থেকেই গড়িমসি করে, নিয়ত ঠিক না করে আর বলে যে: আমি কিছুই শিখবোনা, শুধু কোরআন তেলাওয়াত শিখবো, নামায, রোযা শিখবো আর কিছু শিখবোনা। তাহলে তার গুনাহ হবে। তার ইসলাম পরিপূর্ণ হবে না। এটা একপ্রকার ইসলামকে ঘৃণা করার মতোই।

এটা হচ্ছে শিক্ষার বিষয়, জ্ঞানের ও বিশ্বাসের বিষয়। এটা বিশ্বাস করতে হবে মানতে হবে। এটা জান্নাতের জন্য পাঠানো হয়েছে, খাওয়ার জন্য নয়। মানুষকে দেখানোর জন্য না। এই বিদ্যা থেকে সবকিছুই শিখতে হবে আল্লাহর জন্য, পরকালের জন্য, জান্নাতের জন্য।

তাই কোনো পিতামাতা যদি এই কথা মাথায় রাখেন যে আমার সন্তানকে ইসলামের সামান্য কিছু শিখাবো, সব শিখাবোনা, তাহলে তিনি বড় ভুল করবেন এবং আমানতের খেয়ানত করবেন। এজন্য প্রত্যেক পিতামাতাকে চাইতে হবে তার সন্তান যেনো বড় আলেম হয়। দুনিয়াও শিখাবেন এবং দ্বীনের সকল বিষয়েও পারদর্শী বানাবেন।

এই আশা করার পরেও যদি সম্ভব না হয়, চেষ্টা করার পরেও যদি না হয় তবে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ আপনার সন্তানকে যতোটুকু কবুল করবেন ততোটুকুই হবে। কিন্তু আপনাকে এই নিচু মনমানসিকতা ও ভূল চিন্তাভাবনাগুলো থেকে বের হতে হবে এবং তা ত্যাগ করতে হবে।

  • অভিভাবকের গাইড: আচরণবিধি এবং নির্দেশিকা
অভিভাবকের গাইড: আচরণবিধি এবং নির্দেশিকা

সম্মানিত অভিভাবক মন্ডলী প্রতি  কোর্স কেন্দ্রিক অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ সার্বিক বিষয়াবলী:

  1. হাফেজ ও নির্ভরযোগ্য আলেম বানানোর মন-মানসিকতা স্থির করতে হবে।
  2. দৈনিক মোট ২/৩ ঘন্টা করে সময় বরাদ্দ করতে হবে (এক ঘন্টা ক্লাসের জন্য এবং আরেক ঘন্টা রিভিশনের জন্য )
  3. ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির বয়স ২.৬ থেকেই ভর্তি করাতে হবে।
  4. বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বেশি বেশি বাইরে ভিজিট বা ভ্রমণ করবেন না , বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত করে করে ও বাহিরে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থাৎ কোন ক্লাস গ্যাপ দেওয়া যাবে না।
  5. সন্তানগুলোকে নিয়মিত এক ঘন্টা পুরাতন পড়া revision করাতে হবে
  6. ক্লাসের অডিও এবং ভিডিও গুলো পূর্ণ সেমিস্টার জুড়ে ৬ মাস শোনাতে হবে ।
  7. শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিশেষ করে মা’কে সন্তানের সাথে বসে ক্লাসের পড়াগুলো শিখতে হবে, এবং শিক্ষার্থী ও মা’কে উভয়কেই পড়া গুলো মুখস্ত করতে হবে।
  8. কম্পিউটার এবং প্রিন্টার থাকা জরুরী, ক্লাসের সকল সিলেবাস যেন দ্রুত প্রিন্ট করা যায়
  9. ক্লাসের সময় শিক্ষার্থীদের পাশেই মা’কে উপস্থিত থাকতে হবে। যেন ক্লাসের পড়াশোনা গুলো কোনোভাবেই কঠিন হয়ে না যায়, (বিশেষ করে শিক্ষার্থীর অমনোযোগী ও ভাষাগত দুর্বলতার কারণে ) তাই শিক্ষার্থীর মা’কে তাদের পাশে থেকেই ক্লাসের সারমর্ম বুঝে নিতে হবে যেন ক্লাসের পর সন্তানকে সহজেই বুঝিয়ে দেওয়া যায়।
  10. ক্লাসের পড়াগুলো তাদেরকে ক্লাসেই পরিপূর্ণ বুঝিয়ে দেওয়া হবে শুধুমাত্র ভুলে যেন না যায় তাই শিক্ষার্থীর মা শিক্ষার্থীর সাথে নিয়মিত বসে রিভিশন করবেন।
  11. প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদেরকে যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ও অতিরিক্ত বিভিন্ন গ্রুপ থেকে (যতটুকু একান্ত জরুরী তা ছাড়া) অতিরিক্ত সব কিছু থেকে বের হয়ে আসতে হবে ঐ সব কারণে যেন সময় নষ্ট না হয় এবং সন্তানের প্রতি কোনো কুপ্রভাব না পড়ে, ঈমান দুর্বল না হয়) অন্যথায় অন্তরের ওপর ধীরে ধীরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে থাকবে যার ফলে কোন একদিন হয়তো এই মহান উদ্দেশ্য ও শিক্ষার বাগান থেকে ঝরে পড়তে পারেন, ছিটকেও যেতে পারেন। আল্লাহ হেফাজত করুন!
  12. যেহেতু মানুষ অনেক বেশি কূপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে থাকে তাই এ কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নেওয়ায় উত্তম যে, আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজের চাইতে অপ্রয়োজনীয় ও অনর্থক কাজে সময় বেশি নষ্ট করে ফেলি অতঃপর আফসোস করি যদিও অধিকাংশ মানুষ প্রবৃত্তির কাছে পরাজিত হয়ে আফসোস করার অনুভূতিটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।
  13. অভিভাবককে মনে রাখতে হবে যতদিন পর্যন্ত সন্তানের মধ্যে কোরআন, হাদিস, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের ভালোবাসা প্রবেশ করেনি, অর্থাৎ সন্তানের চরিত্র, আচরণ চলাফেরা চাঞ্চল সবকিছুই দেখে যখন আপনি মুগ্ধ হবেন ততদিন পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তাই সন্তান জন্ম দেওয়া যেমন একটি যুদ্ধের নাম তার চাইতেও বড় যুদ্ধের নাম হচ্ছে সন্তান প্রতিপালন করা।
  14. মনে করতে হবে সন্তান প্রতিপালনের জন্য আপনাকে পশু-প্রাণীর পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, আগুনের মধ্যে আপনাকে নিক্ষেপ করা হয়েছে মনে করতে সব সহ্য করতে হবে , সন্তান – আদর্শ সন্তান না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতেই হবে। এক কথায় যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন দুনিয়ার সকল সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে মিনিমাম ১২/১৩টি বছর অপেক্ষা করে যেতে হবে, জ্ঞানের সুফল না পাওয়া পর্যন্ত বৃক্ষের সার্বিক পরিচর্যা করে যেতেই হবে। অন্যথায় সফলতার দেখা পাওয়া মুশকিল।
  15. আরো মনে রাখতে হবে আপনার এই সকল ত্যাগ ও পরিশ্রমের বিনিময়ে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এবং পরকালে নিশ্চিত জান্নাত পাবেন যদি একনিষ্ঠতার উপর অটল থাকতে পারেন তবেই। আর মহান আল্লাহ একনিষ্ঠ পরিশ্রমীদের পরিশ্রমকে বৃথা করেন না।
  16. শিক্ষার্থীদের নির্ভরযোগ্য হাফেজ ও বড় স্কলার বানানোর জন্য কোর্সের যাবতীয় দিক নির্দেশনা যথাসাধ্য অনুসরণ করার ও মানার চেষ্টা করবেন যেন একমাত্র মহান আল্লাহর অনুগ্রহে অতঃপর আমাদের সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় আমরা যেন আমাদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যে পৌছাতে পারি।
  17. আপনার এই লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন ইবলিশ কোন ভাবেই সহ্য করবে না। ইবলিশ যেহেতু কোনোভাবেই আপনার এই টার্গেট মেনে নেবে না ঠিক তদ্রুপ মানুষের মধ্যেও প্রায় শতকরা ৯৮ জন মানুষই আপনার উন্নতি ও কল্যাণ মেনে নেবে না। তাই সঠিক শিক্ষার এই লাইনে প্রতিষ্ঠিত ও অটল থাকার জন্য অভিভাবকগণ আল্লাহর কাছে নিয়মিত বিশেষ প্রার্থনা করবেন এবং শত্রুদের দৃষ্টি থেকে দূরে থাকবেন যেন আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পথে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
  18. কত মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পেয়েও অন্য মানুষের বাধা-বিপত্তি ও অপরিপক্ক পরামর্শের কারণে বা নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণের কারণেও সঠিক লাইন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, দূরে সরে পড়েছে, তাই আমাদের এই শিক্ষা কার্যক্রম যদি আপনার একান্ত পছন্দ হয় তাহলে আমাদের এই রশি প্রচুর শক্ত করে ধরে থাকবেন এবং অন্য সকল গ্রুপ ও পরামর্শ থেকে বের হয়ে আসবেন অন্যথায় আপনার সঠিক সিদ্ধান্তটি ছোট ছোট হাজারো ফেতনা নামক ঝড়ের কারণে আপনার মূল টাগের্টটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই আমাদের সকল দিকনির্দেশনাগুলো আপনি এন্টিবায়োটিক এর মত সর্বোচ্চ ও অপরিহার্য মেনে অনুসরণ করবেন এবং সেভাবেই পথ চলার চেষ্টা করবেন।
  19. অভিভাবকদেরকে মনে রাখতে হবে জান্নাতের জন্য আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ঈমানদারের জান এবং মাল ক্রয় করে ফেলেছেন আর এ কথা খুবই নিশ্চিত ও স্পষ্ট যে জ্ঞান অর্জন ছাড়া ভালো মুসলিম হওয়া যায় না, তাই মহান আল্লাহ যেহেতু জান্নাতের বিনিময়ে আপনার মাল এবং জান ক্রয় করে নিয়েছেন এ কথা যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে একথাও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, সেই জান জিবন এবং মাল আল্লাহকে দেওয়ার পূর্বেই জ্ঞান অর্জনের জন্য তা পরিপূর্ণ ব্যয় করতে হবে তবেই আপনার ইসলাম এবং ঈমান সুন্দর হবে অতঃপর মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দেবেন। দুনিয়ার ভালোবাসায় মুগ্ধ থেকে জ্ঞান অর্জনের যত ইচ্ছাই থাকুক জ্ঞান অর্জনের প্রকৃত স্বাদ কখনোই অর্জন করতে পারবেন না আর জান্নাত পাওয়া তো বহু দূরের কথা!
  20. মনে রাখবেন জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনি মৃত্যু পর্যন্ত যত কষ্টই করবেন মনে করবেন সাহাবীদের ভিতর থেকে ছোট একজন সাহাবীর জ্ঞান অর্জনের পরিশ্রমের ৫% ও আপনার পরিশ্রম হবে না। তাই যতই পরিশ্রম করুন! কখনোই যেন মনের মধ্যে এ কথা না আসে যে আর কত পরিশ্রম করব? এর চাইতে কি বেশি পরিশ্রম করা যায়? দুনিয়ার দেখাশোনাও তো দরকার! । খবরদার ! মনে রাখবেন..জ্ঞান অর্জনের জন্য বুক ফেটে না যাওয়া পর্যন্ত নীরবতা বজায় রাখবেন। তবেই আপনি দুনিয়া ও আখেরাতে নিশ্চিত সফলতা আশা করা যায়, কারণ জান্নাত এত সহজ নয়, জান্নাতের এক গ্লাস পানি ক্রয় করার মতো পৃথিবীর কোনো মানুষের সাধ্য নেই। পৃথিবীর সকল পরিশ্রমের বিনিময়েও জান্নাতের একটি ঘর ক্রয় করার সাধ্য কারো নেই। তাই জান এবং মালের ১০%ও যদি আল্লাহর জন্য দান করেন তাহলে আপনার বাকি ৯০% দোষ ত্রুটিও আল্লাহ ক্ষমা করবেন এবং জান্নাত দিবেন ইনশাআল্লাহ।
  21. তাই দুনিয়ার ভালোবাসা ও সামান্য সুখের জন্য যেন এই ১০% ছুটে না যায়, যদি এই ১০% ছুটেই যায় তবে কিসের বিনিময়ে আপনি জান্নাত কামনা করেন! মহান আল্লাহ আপনার যে মহা মূল্যবান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করেছেন তার মধ্যে শুধুমাত্র একটি চোখের বিনিময় কি আপনি দিতে পারবেন? তাহলে সন্তানকে নির্ভরযোগ্য আলেম বানানোর জন্য দৈনিক দুই ঘন্টা ব্যয় করা কেন আপনার জন্য কষ্টসাধ্য হবে! আপনি নিজেই বলুন!? আর মহান আল্লাহ আপনাকে সন্তান দিয়েছেন দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য, আমানত হিসেবে, আপনাকে আপনার সন্তানের চিরতরে মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়নি যে আপনি যা ইচ্ছা তাই করবেন? আপনার সন্তানকে যদি এমনটা ভেবে থাকেন তবে আপনি ভুল শিখেছেন, আপনার জন্য অত্যন্ত দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।
  22. এই পৃথিবীর সবকিছুই কাফেরদের জন্য, এই পৃথিবীটা কাফেরদের জন্য জান্নাত, আর ঈমানদারদের জন্য জাহান্নাম, এই কথাটুকু শুধু বিশ্বাস করুন আর অন্তরের মধ্যে শক্ত করে গেঁথে রাখুন! এবার চিন্তা করুন! আমরা মুসলিমরা বর্তমানে কতটা জাহান্নামে আছি? বরং তুলনামূলক আমরা কাফেরদের চাইতে কোন অংশে খুব বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে নেই বরং আনন্দ উল্লাসে সুখ ভোগে তাদের সমতুল্য বলা যায়। মহান আল্লাহ তবুও আপনাকে কত ভালো রেখেছেন তবুও তিনি সামান্য পরিশ্রমের বিনিময়ে কত বিশাল জান্নাত দেবেন যদি দৈনিক দুইটি ঘন্টা সন্তানকে বুকে নিয়ে আল্লাহকে খুশি করার জন্য জ্ঞান অর্জন চালিয়ে যেতে পারেন।!
  23. আমরা যদি জ্ঞান অর্জনের জন্য জান প্রাণ উৎসর্গ করি অর্থাৎ যত পরিশ্রমই করি না কেন পূর্ববর্তীদের তুলনায় খুবই তুচ্ছ পরিশ্রম, তাদের পরিশ্রমের শতভাগের এক ভাগও হবে না একথা আপনি নিশ্চয়ই ধরে রাখুন! তাই আপনার কাছে দুইটি ঘন্টা সময় চেয়েছি ১০ বছরের জন্য এটা আপনি কঠিন মনে করবেন না, এটি দেওয়ার জন্য গড়িমুসি করবেন না, অবজ্ঞা করবেন না আমাদেরকে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা আপনার পরিবারে সুখ ও শান্তি এনে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনার সন্তানকে জান্নাতের মেহমান বানানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনি আমাদের এই চাওয়া নাকোচ করে দিয়েন না। আমি চাই আপনার সন্তান পূর্ববর্তী নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরামদের কাতার শামিল হোক তাই আপনার অনুমতি ও চাওয়া ছাড়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
  24. আজ সঠিক শিক্ষার নামে হাজারো মানুষ ভ্রান্ত শিক্ষায় আপনাদেরকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেখতে অনেক সুন্দর হলেও সেগুলো শিক্ষার নামে ভ্রষ্টতা মাত্র, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : কেয়ামতের পূর্বে এক শ্রেণীর আলেম মানুষ জাহান্নামের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জনগণকে জাহান্নামের দিকে ডাকবে আর এরাই হচ্ছে ভ্রষ্ট আলেম সমাজ, আমি জানি আপনার সন্তানকে সঠিক লাইনে দেওয়ার জন্য আপনি হাজারো মানুষের দ্বারপ্রান্ত হয়েছেন, বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছেন, কিন্তু প্রিয় ভাই ও বোন আমি আপনাকে একান্ত অনুরোধ করছি একান্ত আবেদন করছি আপনি যদি ঠান্ডা মাথায় ও স্থির মনে আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য, আমাদের কার্যক্রম, আমাদের উপদেশ সহ সব কিছুকে মাথায় রেখে অন্য হাজারো কোর্স ও গ্রুপের সাথে তুলনামূলক আলোচনা করেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই উভয়ের মধ্যে পার্থক্য পাবেন এবং সঠিক পথটি খুঁজে পাবেন। তাই আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য আমাদের চেষ্টা আমাদের পরিশ্রম সম্পর্কে আপনার যদি কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে কোন সন্দেহ থাকে আপনি মহান আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করুন বারবার দোয়া করুন কিছু দান-সাক্ষা করুন দেখবেন আল্লাহ আপনাকে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই স্থির করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
  25. নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে আমাদের এই অনলাইন প্রতিষ্ঠান এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত, যেখানে শিক্ষার্থীরা একদম ২/৩ বছর বয়স থেকে শুরু করে ১৫  বছর বয়স পর্যন্ত দীর্ঘ ১২/১৩টি বছর পড়ালেখা করবে তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে কতগুলো সাবজেক্ট ও বিষয় পড়ানো হবে!
  26. প্রতিটি সেমিস্টারে আনুমানিক নূন্যতম দশটি করে সাবজেক্ট থাকবে আর বাৎসরিক দুটি সেমিস্টার তাহলে চিন্তা করুন 24 সেমিস্টারে দশটি করে সাবজেক্ট হলে (২৪×১০=২৪০) ২৪০ টি সাবজেক্ট বা বিষয় পড়ানো হবে।
  27. আপনার কি মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সাবজেক্ট বাদ যাবে ?
  28. নিশ্চয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় বা সাবজেক্ট ছুটে যাওয়ার কথা নয়।
  29. দেখেন! সন্তানের জন্য এদিক সেদিক কত ভাবে কত টাকা-পয়সা খরচ হয়ে যাচ্ছে শুধু দুনিয়ার লোভ লালসা পূরণ করার জন্য, অথচ কুরআন এবং হাদিস শুদ্ধ ভাবে শেখার জন্য খুব সামান্য অর্থও খরচ করতে টালবাহানা করি।এভাবে আর কত কাল?
  30. নিশ্চয়ই আপনাদের জানার কথা; জান্নাত পাওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জন করতে হলে সঠিকভাবে ইসলাম শিক্ষা করা ফরজ, তাই ফরজ শিক্ষার জন্য অর্থ বা টাকা পয়সা ব্যয় করাও কিন্তু ফরজ।
  31. জ্ঞান শিক্ষার জন্য অর্থ বা টাকা-পয়সা খরচ করলে এটা বিফল নয়, বরং এটাই আপনার পরকালে জমা থাকবে, আপনার অর্থ, শ্রম, কষ্ট, যত বেশি ব্যয় করবেন সবকিছুর বিনিময়ে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন তিনি আপনাকে আপনার পরিশ্রম অনুযায়ী সম্মানিত করবেন এবং পুরস্কার প্রদান করবেন।
  32. জ্ঞান শিক্ষার জন্য সবচাইতে বেশি টাকা পয়সা ব্যয় করা উচিত তাহলে আপনার ব্যয় হবে যথার্থ। আর এছাড়া সকল অর্থ কড়ি, টাকা-পয়সা যেখানেই খরচ করেন না কেন তা পুরোটাই এক প্রকার বৃথা হবে যদি তাতে সাওয়াবের নিয়ত না থাকে।
  33. প্রিয় অভিভাবকগণ! এ কোথাও আপনারা খুব ভালো করেই জানেন সময় হচ্ছে মানুষের জীবনে সব চাইতে বেশি মূল্যবান, সময়ের সদ্ব্যবহার জীবন সুন্দর হয়,

অতএব ২৪ ঘন্টার মধ্যে দ্বীন শিক্ষার জন্য, জান্নাতের জন্য, নিজের কল্যাণের জন্য ,পরিবারের কল্যাণের জন্য, সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য, দৈনিক মাত্র দুই ঘন্টা নির্ধারণ করা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য হওয়ার কথা নয়।

ইসলামের শিক্ষামূলক কাজে দুই ঘন্টা ব্যয় করার ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সন্তুষ্ট থাকা উচিত, তা না পারলে নিজের সাথেই যুদ্ধ করা উচিত, যে কোন মূল্যে দুই ঘন্টা আপনাকে বের করতেই হবে অন্যথায় ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করে সাজাতে পারবেন না।

তাই অনুগ্রহ পূর্বক মাত্র দুটি ঘন্টা আল্লাহর জন্য ছেড়ে দিন, আর এর জন্য কোন গড়িমসি ও খোড়া অজুহাত পেশ করার ইচ্ছা করবেন না।  তাহলে দেখবেন এই সামান্য ত্যাগের কারণে আপনার কত বেশি উন্নতি হয় এবং পরকালে আল্লাহ আপনাকে কত বেশি মর্যাদা দান করেন! শুধু সময়ের অপেক্ষা!  আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই পর্যন্ত লেগে থাকা তাওফীক দান করুন!

  • Become a special guardian
Become a special guardian
Become a special guardian

প্রিয় সম্মানিত অভিভাবক মন্ডলীদের কাছে বিশেষ আবেদন: আপনারা নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য দৈনিক সন্তানদের পিছনে মাত্র দুই ঘন্টা সময় দিবেন এবং আপনাদের কলিজার টুকরা শিক্ষার্থীরা যা শিখবে আপনারাও স্বামী-স্ত্রী সহ শিখতে চেষ্টা করবেন, এমনকি পারিবারিকভাবে সকলেই শেখার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনাদের দেখাদেখি আপনাদের সন্তানগুলো ইসলামী শিক্ষাকে ভালবাসতে শুরু করবে, তখন আর তাদেরকে জোর করে পড়াতে হবে না এবং এর মাধ্যমে আপনাদেরকে এবং আপনাদের পারিবারিকভাবে অন্য কোথাও আর কোন বিষয় ভিত্তিক কোন  কোর্সে পড়ালেখার জন্য ছোটাছুটি করতে হবে না। আপনার সন্তানরা যা শিখছে আপনিও যদি তাই শিক্ষা করেন তাহলে একটি দুটি নয় বরং ২40 টি বিষয় আপনিও শিখতে পারবেন, তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সন্তানের সাথে লেগে থাকাটা আপনার জন্য‌ও কতটা অপরিহার্য।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা বছরের পর বছর বিভিন্ন কোর্সে  ভর্তি হয়ে থাকেন তারা কিন্তু এভাবে বহু সময় নষ্ট করেও খুব সামান্য কিছু ছাড়া বেশি কিছু শিখতে পারছে না।

অবশেষে দেখা যাবে বিভিন্ন কোর্সে সামান্য কিছু শেখার নামে বহু বহু গুণে সময় নষ্ট হল, বলা যায় একপ্রকার ঘুরাঘুরি ছাড়া তেমন কিছুই অর্জন হলো না

এজন্য দেখবেন বহু মানুষ ১০/১২ বছর অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সে পড়া লিখা করেও যেই সেই, তেমন কোনোই উন্নতি নেই। কারণ কি? উত্তর :এর বহু কারণ রয়েছে:

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো: কোর্সের প্রতিষ্ঠানগুলোর টার্গেট খুবই সামান্য,

শিক্ষার্থীদের তারা এবিসিডির মত প্রাথমিক কিছু শিক্ষা দিতে চায়, কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর উপর কোন বল প্রয়োগ নেই, জোর জবরদস্তি নেই, বাধ্যবাধকতা নেই।

তদ্রূপ শিক্ষার্থীরাও বড় কোনো টার্গেট হাতে নিতে পারেনা, বা শিক্ষার জন্য আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রবল হলেও কোর্সগুলোতে তাদের পছন্দমত পাঠদান হয় না

যার ফলে বহু বছর পড়াশোনা করেও কেউই কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বড় দক্ষতা অর্জন করতে পারে না।

তাই সম্মানিত অভিভাবক মন্ডুলিন কাছে বিশেষ অনুরোধ করবো আমাদের কোর্সে ভর্তি করানোর পর আপনারা আপনাদের সন্তানের পোশাকের মতই লেগে থাকুন, দৈনন্দন ক্লাসের পড়াগুলো নিজে শিখুন, সন্তানকে শিক্ষা দিন নিজের সাথে যুদ্ধ করুন! প্রবৃত্তিকে কখনো বিজয়ী হতে দিবেন না, অলসতা করবেন না। মানুষের কথায় কান দিবেন না, সদা সর্বদা শিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন, দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করুন, আল্লাহই আপনাকে সাহায্য করবেন, ১০-১২ টি বছর পর আপনি নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে ইসলামের যে কোন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

তখনই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

সর্বশেষ একটা কথা মনে রাখবেন কেউ যদি উত্তম ধারণা করে তাহলে আল্লাহ তাকে তার চাইতেও উত্তম কিছু দান করেন। আর কেউ যদি মন্দ ধারণা পোষণ করেন তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম কোন কিছু থেকে বঞ্চিত করেন। কারণ ধারণা একটি বড় এবাদত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাকো, ধারণা হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

অন্য হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ তায়ালা কোন ব্যক্তির সাথে ঐ আচরণই করেন বান্দা আল্লাহর প্রতি যেমন ধারনা রাখে।

এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের কেউ যেন মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ না করে আর তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা না করে মৃত্যুবরণ না করে।

Select the fields to be shown. Others will be hidden. Drag and drop to rearrange the order.
  • Image
  • SKU
  • Rating
  • Price
  • Stock
  • Availability
  • Add to cart
  • Description
  • Content
  • Weight
  • Dimensions
  • Additional information
Click outside to hide the comparison bar
Compare