মদিনা মনোয়ারা চিলড্রেন্স স্কুলের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য
August 1, 2023 2023-09-07 19:16মদিনা মনোয়ারা চিলড্রেন্স স্কুলের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য
মদিনা মনোয়ারা চিলড্রেন্স স্কুলের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ইসলাম ধর্ম তথা দ্বীন শিক্ষা করা ফরজ”, যদি কেউ ইসলামের ফরজ বিধানগুলো শিক্ষা না করে তাহলে সেই ব্যক্তি মুসলিমই থাকতে পারে না।
আর আমি দীর্ঘদিন যাবত একটা জিনিস দেখে যাচ্ছি তা হল: বাংলা ভাষাভাষী মানুষজন অধিকাংশই দুর্ভাগ্যবশত সঠিক ইসলাম বোঝেন না, আসলে জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি ইসলাম শিক্ষাও যে করা যায় এ বিষয়টি আমাদের দেশের মানুষের কাছে একদমই অপরিচিত, যার ফলে জেনারেল শিক্ষিতদের সঠিক ইসলাম শেখার বড় একটা সৌভাগ্য ও সুযোগ হয় নাই, হচ্ছেও না তেমন। কারণ জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি যে সঠিক ইসলামও শিক্ষা করা যায় সে পদ্ধতিই আমাদের দেশে নেই।
আর যারা মাদ্রাসার পরিচালক তারা জনসাধারণের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা এতই কঠিন করে রেখেছেন যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাঁরাও জনসাধারণকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ইসলাম শিক্ষা করতে হলে স্কুলের পড়ালেখা বাদ দিয়ে শুধু মাদ্রাসাতেই পড়ে থাকতে হবে। অথচ এটি চরম অন্যায় ও বিভ্রান্তিকর চিন্তা চেতনা এবং বড়ই অজ্ঞতা।
এমনকি মাদ্রাসার দায়িত্বশীলগন জেনারেল শিক্ষার্থীদেরকে তো মাদ্রাসার পাশেও ভিড়তে দেয় না তাহলে জেনারেল শিক্ষার্থীরা ইসলাম শিখবে কোথায়?
তাই জেনারেল শিক্ষার্থীদের জন্য বড়ই সু সংবাদ আমাদের এই প্রতিষ্ঠান ইনশাআল্লাহ
এজন্যই তো “মদিনা মনোয়ারা চিলড্রেন্স স্কুলের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে: জেনারেল বা দুনিয়াবী শিক্ষার্থী তথা স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষ করে প্রবাসী শিক্ষার্থীদেরকে হাফেজে কোরআন এবং উঁচু মাপের আলেম বানানো।
প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী যেন তাদের প্রত্যেকের দুনিয়াবী উচ্চ আকাঙ্ক্ষা মুলক স্বপ্ন পূরণ করার পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হয় আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে: কেউ হবে ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বা বিজ্ঞানী, যে যাই হোক না কেন আমরা চাই সে একজন খাঁটি মুসলিম হোক এবং নির্ভরযোগ্য হাফেজ ও আলেম তৈরি হোক।
তাহলে তাঁর দুনিয়া ও আখেরাত উভয়টি উজ্জ্বল ও কল্যাণময় হবে। উভয় জগতে তার সফলতা নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে: অধিকাংশ মানুষ তাদের সন্তানদেরকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার নামে ভ্রান্তির মধ্যেই পড়ে আছে, অধিকাংশ মানুষ মনে করেন: সন্তানদের ‘কয়েকটি সূরা ও কয়েকটি দোয়া শিক্ষা দিলেই বুঝি ইসলাম শিক্ষা শেষ হয়ে গেল’! অথচ এটি যথেষ্ট ইসলাম শিক্ষা নয়। এই শিক্ষা দিয়ে আপনি পরকালে নাজাতের আশা করতে পারেন না। বরং ইসলাম হচ্ছে ইসলাম ও ঈমানের আবশ্যকীয় বিধি-বিধান গুলো শিক্ষা প্লাস উপলব্ধির নাম।
একটি উদাহরণের সাথে একটি প্রশ্ন রেখে দিলাম দয়া করে চিন্তা করবেন!
এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য সুখে শান্তিতে বসবাস করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যদি এত বিদ্যাবুদ্ধি, এত অর্থ, এত সময় ও শ্রম দিতে হয় তাহলে যেই জান্নাতে চিরস্থায়ী থাকতে হবে তার জন্য কি সময় কম দেওয়া উচিত নাকি আরো অনেক বেশি সময় দেওয়া উচিত?
তাই যে পদ্ধতিতে ইসলাম শিক্ষা করা উচিত তার সামান্য একটু ধারণা হলো এরকম: একজন মুসলিম প্রথমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সম্পূর্ণ কোরআন এবং সম্পূর্ণ হাদিস সঠিকভাবে বোঝার, কারণ মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই দুনিয়াতে চিরস্থায়ী করে বানাননি বরং আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পরকালের জন্য, আর এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন শুধু ইবাদতের জন্য তথা আল্লাহর বিধান মানার জন্য। দুনিয়াতে ভোগ-বিলাসের জন্য নয়, চাকরি-বাকরি, আইন কান, খেল তাসার জন্য নয়।
আপনি যদি জ্ঞানী হয়ে থাকেন তাহলে উপরের কথা গুলো অবশ্যই চিন্তা করবেন!
এই চিন্তাটুকু থাকা প্রত্যেকটা মুসলিমের জন্য ফরজ,অন্যথায় কোন ব্যক্তি মুসলিমই হতে পারবেনা। উপরন্তু যদি কোন ভাবেই সম্ভব না হয় তবে ইসলামের আবশ্যকীয় বা ফরজ বিধানগুলো যে কোন মূল্যে তাকে শিখতেই হবে। আর এসব কিছু কি দু চারদিনে হয়ে যায়?
এর জন্য মিনিমাম ৮ থেকে ১০ বছর, বিশেষ করে শিশুদের জন্য তো প্রয়োজন ১০ থেকে ১২ বছর বছর, দৈনিক ২/৩ ঘন্টা। মূলত জীবনভর ইসলাম শিক্ষা করতে হয়। তবেই আশা করা যায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে প্রবৃত্তির অনুসরণে, নিজের খেয়াল খুশি মতো ইসলাম শিক্ষা করলে কখনোই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নাজাত প্রাপ্ত হওয়া যাবে না। আর অধিকাংশ মানুষই তারা আল্লাহর বিধান মত বা তাঁর পছন্দ মত ইসলাম পালন করে না। একথা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বহুবার বিভিন্ন ভাবেই বলেছেন। তাই আমরা চাই আপনার প্রিয় সন্তান ইসলাম সম্পর্কেও যেন আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ মার্ক পেয়ে শ্রেষ্ঠদের কাতারে সামিল হতে পারে।
আর সে কাজটাই আমরা করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মাত্র দুই ঘন্টার বিনিময় আপনার সন্তান তৈরি হবে জগৎবিখ্যাত একজন ইসলামিক স্কলার ইনশাআল্লাহ।
আমাদের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের উন্নতি সম্পর্কে জানতে চান?
শিক্ষার্থীদের উন্নতি কেমন তা আসলে প্রচার করার ইচ্ছে না থাকলেও আপনাদের অবগতির জন্য প্রচার করতে বাধ্য হচ্ছি কারণ আপনারা তো বুঝতেই চাচ্ছেন না, দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে আছেন, যাই হোক কিছুটা অনুমান করতে চাইলে ভিজিট করুন আমাদের টেলিগ্রাম পেইজে যেখানে আমাদের ক্লাসের ভিডিও থেকেই আঁচ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন! প্রিয় অভিভাবকগণ! যারা এখনো শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে দোটানায় ভুগছেন সময় ফুরিয়ে গেলে কিন্তু এই সময় আর পাবেন না, সময় থাকতে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন! উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয়ই জানেন…প্রতিষ্ঠানে বিলম্বে ভর্তি করার জন্য আপনাকে কেউ কোন অভিযোগ করবে না বরং আপনার কল্যাণ আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে! মহান রবের কাছেই চাইতে হবে।
দশ জন লোক আপনাকে কেন হেল্প করছে না? কেন দশজন লোক আমার এই পোস্ট অনুযায়ী পরামর্শ গ্রহণ করার তাগিদ দিচ্ছে না; এই নিয়ে যদি বসে থাকেন তবে পরবর্তীতে আফসোস করতে হবে। আপনার বসে থাকায় কারো কোনো ক্ষতি হবে না।
যাদের সাথে চলাফেরা করেন তারা সবাই রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ প্রত্যেকেই নিজের কাজে ব্যস্ত আপনাকে গণনা করার সময় তাদের হাতে নেই, আপনি যেদিন যোগ্য হবেন সেইদিন আপনাকে সবাই গণনা করবে। অর্থাৎ আপনার সন্তানকে যোগ্য করতেই আমাদের এই প্রতিষ্ঠান! আলহামদুলিল্লাহ বলুন: আমাদের কথা গুলো বিশ্বাস করুন! আর মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন! সফলতা নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
ভর্তি ফর্ম সহ ডিটেলস জানার জন্য নিচের লিংক ফলো করুন
Search
Categories
Latest Posts
Comment (1)
A WordPress Commenter
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.